মালদা ;১৩ মে: সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে মারন ব্যাধি করোনা ভাইরাস। যার সূত্রপাত মহাপ্রাচীরের আব্দ্ধ চীন দেশ থেকে। ছড়িয়ে গোটা বিশ্বে। আর এই করোনা সংক্রমন রুখতে বেশ কিছু দেশের প্রধান ঘোষনা করেছেন লকডাউনের। তবে তা ভারতের তৃতীয় দফায় বর্তমান।
তবে দেশের সাথে রাজ্য পশ্চিমবঙ্গর সাথে সংক্রমনে পিছিয়ে নেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়।
এগারো জন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হদিস পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে গোটা মালদা জেলার চাঁচল মহকুমা থেকে গোটা মালদা জেলাবাসী।
এরই মাঝে লকডাউন বিধিকে মান্যতা ও প্রশাসনকে কড়া নজরদারির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনও করেছেন প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। তবে চাঁচলের প্রতিবেশী ব্লক এলাকা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক এলাকায় হু হু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় আতঙ্কে আছে চাঁচল বাসীর অধিকাংশই বলা বাহুল্য।
লকডাউনে দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বড় দোকান চাঁচলে খোলা থাকাই সরব হয়েছেন চাঁচল বাসীর লকডাউন সমর্থন কারীরা ।
তারই মধ্যে সোমবার থেক সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় চাঁচলের লকডাউন সমন্বিতভাবমুর্তিভাবাপন্নে প্রশাসনের ভূমিকা। কেউ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন আবার ও কেউ লকডাউন সমর্থন করার আবেদনও করছেন।
তবে তা রাজনৈতিক ভাবে ঘোলা জলে পরিণত হবে সেটা ভাবতে পারেননি মালদা ১২ নং জেলা পরিষদের মহিলা যুবমোর্চার সভাপতি সংঘামিত্রা সাহা। "চাঁচল বাসি এবার মৃত্যুর মিছিলে হাটবেন তো" চাঁচল সদর তথা চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কার্যকরী সভাপতি বাবু সরকারের ওই ফেসবুক পোষ্ট দেখে তিনি সরব হন। উনার দাবী আমরা দেড়মাস লকডাউন সমর্থন করেও কেন হাটব মৃত্যু মিছিলে। আমরা করব করোনা মুক্ত ভারত। বাইরের প্রকৃতি পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হয়ে আবদ্ধ ঘরে এই দেড় মাসের কি ফল আমাদের। সর্বশেষ মৃত্যু মিছিলে হাটব।
সরব হয়ে তিনি চাঁচল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মঙ্গলবার।
যদিও সপ্তাহ দুয়েক আগে মালদা জেলা পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, করোনা সংক্রান্ত কোনো গুজব বা ভুয়ো এবং হিংসা মূলক মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো উপভোক্তার প্রতি আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এপ্রসঙ্গে উত্তর মালদা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মূ প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ক্রোধে বলে উঠেন, মৃত্যু মিছিলে হাটবে কেন? কেন্দ্র সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে জনগনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এই মহামারীতে। মঙ্গলবার দেশবাসীর জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষনা করেছে শুধু কি মৃত্যু মিছিলে হাটার জন্য।
চাঁচলবাসী মৃত্যূ মিছিলে হাটলে দায়ী থাকবে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল সরকার বলে কটাক্ষ করে বলেন তিনি।
এটা কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য নয়! ব্যক্তগত স্বার্থে ওই পোষ্ট বলে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
মালদা জেলা সভাপতি প্রসূন রায়।
তবে কি চাঁচল বাসী লকডাউন মানছে না। করোনার মৃত্যু মিছিলে হাটতে প্রস্তুত আছি কি আমরা। আমরা ঘরে বসে দেড়মাস কি করলাম। জবাব দিহি চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবু সরকারকে ক্ষমাপ্রার্থীর হওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন চাঁচলের নাগরিক প্রসেনজিৎ শর্মা।
তৃণমূলের মালদা জেলা কার্যকরী সভাপতি বাবলা সরকার জানিয়েছেন বাবু সরকারএই নামে তৃণমূলের কোন নেতা নেই। জেলাতে তৃণমূলের যুব কমিটি। লোক ডাউন নিয়ে ওই ছেলেটি যদি কোন মন্তব্য করে থাকে দলটার দায়িত্ব নেবে না। মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন কঠোরভাবে মেনে চলতে বলছেন। এই অবস্থায় কেউ যদি বিরোধী মন্তব্য করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য কমিটির মেম্বার জামিন ফেরদৌস জানান চাচোল এর ছাত্র পরিষদের নেতা বাবু সরকার যা মন্তব্য করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় আমি এর ধিক্কার জানাই। করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই নিয়ে কোন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা উচিত নয়। যাতে মানুষ ভুল বুঝে। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।