অলোক আচার্য ,নিউ বারাকপুর :
লকডাউন অব্যাহত। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গোটা দেশ গৃহবন্দী। চরম বিপর্যয়ে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলি।
রোজগার বন্ধ। নেই ডিজিটাল রেশন কার্ড বা ফুড কুপন। অন লাইনে রেশন কার্ডের আবেদন করলেনও ত্রসে পৌছায়নি কার্ড। লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে থাকায় পরিবার গুলি চরম সঙ্কটে।
নিম্নমধ্যবিত্ত সঙ্গে দীনমজুরি অসহায় গরীব মানুষদের হাতে নেই অর্থ। নেই রান্না করার ব্যবস্থা। লকডাউন পাল্টে দিয়েছে তাদের জীবন যাত্রা।
বাস,ট্রেন বাজার হাট সব বন্ধ।অনেকে ত্রাণ নিয়ে ত্রগিয়ে গেলেও তা পরিবারগুলির সঙ্কট মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।
ঠিক সময়ে মহামারী বিপর্যয়ে অসহায় গরীব মানুষদের পাশে দাড়িয়ে সাধ্যমতো ত্রাণসামগ্রী বিলি করলেন নিরন্ন মানুষদের।
নিউ বারাকপুর পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা:পঙ্কজ কুমার অধিকারী।
একাধারে জনপ্রিয় চিকিৎসক আবার জনপ্রতিনিধি। শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীর জনস্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছেন দীর্ঘ দিন ধরে।
শনিবার বিকেলে স্হানীয় কামারশালা বটতলা ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে ওয়ার্ডের শতাধিক বিপন্ন মানুষদের ও কর্মীদের হাতে তুলে দিলেন সাধ্যমতো খাদ্যসামগ্রী।
চাল,ডাল,আলু এবং সোয়াবিন। অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাড়িয়ে আর্ত মানুষের সেবায় এলাকার জনপ্রিয় চিকিৎসক ডা পঙ্কজ কুমার অধিকারীর মানবিক উদারতার নজির দৃষ্টান্ত গড়লেন।
আসহায় মানুষের মুখে হাঁসি ফুটল। ডা পঙ্কজ কুমার অধিকারী বলেন এই দুর্যোগে সংকটময় পরিস্হিতিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে এগিয়ে এসে দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। সরকার থেকে মাথাপিছু পরিবার পাঁচ কেজি চাল দিলে ও অনেকই বঞ্চিত।
সেই সব প্রান্তিক মানুষদের চিহ্নিত করে তাদের কুপন মারফত খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের আন্তরিকতায় অক্লান্ত পরিশ্রম ত্রাণ বিলি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক পরিহিতদের হাতে সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় এদিন।