চারিদিকে রক্তের সংকট। এই লকডাউন সময়ে যে রক্তের সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে, সেটা আমরা যেমন -শাশ্বত পাড়ুই, রেজাউল করিম, সাজাহান মোল্লা, সুদীপা ব্যার্নাজি -মূলত সমাজসেবী ছেলেদের নিয়ে গ্রুপ তৈরী করা হলেও গ্রুপে রাজনীতির রং না দেখে ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী বা রাজনীতির বাইরে থাকা কিছু সোস্যাল বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপের বিস্তার ঘটানো হয়। গ্রুপের নাম দেওয়া হয় -
*WhatsAppBloodDonor*। বর্তমানে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১৬৫+।
লকডাউনের বিগত ৫৪ দিনে উলুবেড়িয়া হসপিটালে কমবেশি ১৫০+, হাওড়া ও কলকাতার ব্লাড ব্যাঙ্কে ২৫+ ডোনার দিয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চা ও কিছু অপারেশন রোগীদের হেল্প করা হয়েছে। আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা লকডাউনের শুরু থেকে আজও ডোনার দিয়ে লড়াই জারি আছে।
#WhatsAppBloodDonor গ্রুপের আহবানে উলুবেড়িয়া হসপিটালে গিয়ে আজকে যারা রক্তদান করতে এগিয়ে এলেন.....
১) অর্ঘ্য রায় চৌধুরী রক্ত দিলো শ্যামপুরের সেখ শামীমকে ,
২) ইতি ঘোষ কে রক্ত দিলো পেশাই শিক্ষক মোহাম্মদ ইনতিয়াজ দা ,
৩) সেখ সাবির আলি রক্ত দিলো বেলে সীজবেরিয়ার সেখ শামীম আলী কে,
৪) প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য সেখ মঈনউদ্দিন রক্ত দিলো আকাশ পাত্রকে,
৫) শবনম পারভীন কে রক্ত দিলো শ্যামপুরের সঞ্চিতা বিশ্বাস,
৬) মাহী রহমান কে রক্ত দিলো হাওড়া সালকিয়া থেকে এসে পার্থ প্রতিম গাঙ্গুলি ,
৭) সালমান সেখ কে রক্ত দিলো অঞ্জন দে,
৮) বার গরচুমুকের সেখ বোরহান কে রক্ত দিলো সেখ আসলাম ।
৯) সেখ গিয়াসুদ্দিন রক্ত দিলেন পানিয়াড়ার তৌসিফ খানকে।
উলুবেড়িয়া হসপিটালে, আজ মোট 9 ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করা হলো
#WhatsAppBloodDonor গ্রুপের পক্ষ থেকে। এই লক ডাউনের সময়ে যাতে কোনো রোগীকে রক্তের অভাবে মারা না যায় তারজন্য আমাদের গ্রুপের সকল সদস্যদের সংগ্রাম জারি আছে। মুমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্তদানের এগিয়ে আসার জন্য সকল রক্তদাতাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানালেন উপস্থিত সকলেই।