প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি অবশ্যই নিরাপত্তাহীনতার চরম সংজ্ঞা । কিন্তু ধর্ষিতা না হয়েও লাঞ্ছনা ও নিরাপত্তাহীনতা গ্রাস করে আছে বহু প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি কে ।
এমনই একটি বাঙালী প্রিয়াঙ্কার নাম মৌসুমী দাস । মেধাবী ছাত্রী হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক বিবাদের জেরে তাঁর ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে ।
বাবা , মা সহ সে নিজে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত ।
বাগূইহাটির হাতিয়াড়ার বাসিন্দা ব্যচেলার্স ডিগ্রির কমার্স বিভাগের ছাত্রী মৌসুমী দাস (১৯) নিরাপত্তার অভাবে তো ভুগছেনই , নিজের নিকট জনের কাছ থেকেই পাওয়া আঘাতজনিত ভীতি তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছে ।
তাঁর চেয়েও বড় কথা - উচ্চমাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রীর ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তার টানাপোড়েনে ।
বা
বা ভোলানাথ দাস (৪৯) বা
মা মঞ্জু দাস (৩৬) কে নিয়ে ইকো পার্ক থানার পূলিশের দ্বারস্থ হয়ে মৌসুমীর জুটেছে অশেষ অবহেলা ।
তাই বারাসাত আদালতের শরণাপণ্ণ ওই ছাত্রী ও তার পরিবার ।
শীতলাতলা বড় বাগান এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে মৌসুমীর বাবা বেসরকারি একটি স্কুলের স্কুলবাস চালক।তাঁর মা গৃহবধূ যিনি এই বিবাদে সবচেয়ে বেশি মাত্রার শারীরিক নিগ্রহের শিকার ।
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের মাশুল কিন্তু মনে প্রাণে আরো যেন বেশি ভাবে গুনতে হচ্ছে ঊণিশ বছরের তরুণীকে । বুধবার থেকে শুরু হতে চলা পরীক্ষা হয়তো দেওয়া হবে না তার ।
পারিবারিক বিবাদে মৌসুমী দাসের দাদু বাবলু চন্দ্র দাস ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মারধোর করেছে বলে মৌসুমীর পরিবারের অভিযোগ।
বিবাদ বাড়ির একটি অংশ উঁচু করা নিয়ে । এরপরে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁদের ।
মেয়েটির এখন একটাই দাবি দুদিন পর তার বিকম পরীক্ষা তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হোক। বারবার করে বলা সত্বেও তার অ্যাডমিট কার্ড বাড়ি থেকে বার করতে দিচ্ছে না আত্মীয় স্বজনরা, ।
মৌসুমী দাসের অভিযোগ , গতকাল রাতে ইকো থানায় গেলেও তাদের সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয় ।
এমনকি গত দুদিন রাস্তায় বসে মৌসুমীকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে ।
নিরাপদ সে নয় সে জানে । তথাপি এখন তার একটাই দাবী , আশাও একটি -যদি সে এডমিট কার্ড পেয়ে যায় তবে সে পরীক্ষাটা অন্তত দিতে পারে ।
ভবিষ্যৎ সুরক্ষা কি পাবে সে ? হণ্যে হয়ে বাগুইহাটি বা ইকো পার্ক থানা থেকে বারাসাত আদালত অব্দি আইন ও প্রশাসনের দরজায় দরজায় মাথা ঠুকরে মরছে মৌসুমী নাম্নী আরেক প্রিয়াঙ্কা ।
প্রতি মুহূর্তে দহন হয়ে চলেছে মেধাবী মৌসুমীর ॥